মাত্র ৫/৭ বছর আগে বাবুল মাতুব্বর ছিল স্থানীয় চেয়ারম্যান এর মাছ ঘাট এর নৌকার মাঝি হঠাৎ তিনি হয়েছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। তিনি এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক গোপালগঞ্জে নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়ি। বর্তমানে বাবুল মাতুব্বর ওই অঞ্চলের বাবুল দাদা নামে পরিচিত তার রয়েছে শক্তিশালী লাঠিয়াল বাহিনী তার কথা ছাড়া কোন কিছুই চলে না। তার তিন স্ত্রী, ছেলে ও তার নিকটতম আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে গোটা এলাকা দখল করে আছে মুখ খুলতে পারছে না ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। অসহায় দুস্থ কৃষক চরাঞ্চলে আবাদ করতে গিয়ে প্রতি ১৬০ শতক অর্থাৎ ১ কানি জমিতে বছরে ৫ হাজার টাকা করে আগাম দিতে হয়। বাবুল মাতুব্বরের রয়েছে শতাধিক গরু, অর্ধশতাধিক মহিষ, বেড়া ও ছাগল।
এছাড়াও ওই চরাঞ্চলের অন্য লোকেরা মহিষ পালন করে প্রায় হাজার খানেক প্রতি মহিষ প্রতি বছরে বাবুল মাতুব্বরকে দিতে হয় 2 হাজার ৫ টাকা করে, বাবুল মাতব্বরের রয়েছে মুলী ব্যবসা এক লক্ষ টাকা কাউকে দিলে মূলধন থাকার পরেও ৭০ মণ ধান অথবা সয়াবিন দিতে হয় তাকে। বাবুল রাজার কথা অমান্য করলে তিনি নিজেই আদালত বসিয়ে তাদেরকে সাহেসতা করেন।
যেভাবে বাবুর মাতুব্বরের টাকার উৎস দুজনে মাছ ধরার চাঁই ওয়ালা, নেট জাল,দাড়ি ও চাটাই (হোগলা পাতা) বিক্রি করে প্রতিবছর প্রায় কোটি টাকা। ওই অঞ্চলের একাধিক নিরীহ কৃষক মোজাম্মেল বেপারী, জাকির ঘরামি, সালাউদ্দিন চৌকিদার, হারুন মোল্লা জাহাঙ্গীর মিস্ত্রি, সফিজ উদ্দিন রাড়ি, আবু তাহের বাগা, লিটন হাওলাদার, নুরুল ইসলাম মাঝি, আবু মাঝি, আলী বেপারী, নাসির মাতুব্বর, মন্নান দালালসহ আরো অনেক কিছু করা বলেন বাবুল মাতুব্বরের হুকুমের বায়রা কোন কিছুই চলে না এখানে। বাবুল মাতুব্বরের নিকট সাধারণ কৃষকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমার গরু ছাগল মহিষ দাঁড়া কোন কৃষকের ফসল ক্ষতি হলে আমি তাঁদেরকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব তা প্রত্যেককেই জানে। অবৈধভাবে জমি দখল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কেউ উড়িয়া মৌজায় বিভিন্ন রেকর্ডীয় জমির মালিক দের কাছ থেকে ৬ একর জমির লিখিত নিয়েছি আর রিভার ব্লক এলাকায় ৫০ একর জমি ভোগ করি যার টাকা কাউকেই দেইনা।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) উপজেলা নির্বাহি অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন যদি কেউ সহকারী ১ নং খতিয়ানের জমি দখল করে এ ধরণের কার্যক্রম করে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply